জাতীয় দলে নিয়মিত খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন মোহাম্মদ মিঠুন। সম্প্রতি বাদ পড়েছেন বাংলাদেশের আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে। তবে জাতীয় দলে নিয়মিত পারফর্ম না করতে পারাই শুধু নয়, এর পেছনে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ‘অনলাইন অ্যাবিউজের’ শিকার হওয়া নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে ক্রিকইনফোকে মিঠুন বলেন, ‘মানুষ আপনাকে উপহাসের পাত্র বানালে সেটি অপমানজনক। প্রথমত, কারো সেই অধিকার নেই। একজন মানুষ হিসেবেও আপনার এমন ব্যবহার প্রাপ্য নয়, আমি কেবল একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারের কথাই বলছি না। এটি সবার জন্যই প্রযোজ্য। আপনার জীবনের ওপর আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণ আছে এবং আপনার পরিবারের মানুষ ছাড়া কেউই আপনাকে এভাবে বলতে পারে না। দ্বিতীয়ত, আসলে আমাদের অভ্যাসই এমন হয়ে গেছে এবং এগুলো পরিবর্তনও হচ্ছে না।’
দলে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানেই আমার ক্যারিয়ারের শেষ নয়, এবং আমার অনেক বেশি বয়সও হয়নি। যখন একজন খেলোয়াড় ভালো করতে পারবে না সে দল থেকে বাদ পড়বে, এটি খুবই স্বাভাবিক। আমি আগেও দল থেকে বাদ পড়েছি। তাই আমাকে খুঁজতে হবে আরও ভালো একজন খেলোয়াড় হয়ে কীভাবে দলে ফেরা যায়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কে মিঠুন বলেন, ‘অনলাইন অ্যাবিউজ নিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটাররা আগেও কথা বলেছেন, কিন্তু কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমার মনে হয়, যারা আমাকে নিয়ে উপহাস করছে, তাদের ক্রিকেট সম্পর্কে ধারণাই নেই। আমি নিজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করি না। কিন্তু আপনি কী সবকিছুই এভাবে এড়িয়ে যেতে পারবেন? আপনার বন্ধুরা আপনাকে এসব দেখাবে।’
কোহলির উদাহরণ দিয়ে মিঠুন বলেন, ‘ইংল্যান্ড সিরিজের আগে দীনেশ কার্তিকের সাথে বিরাট কোহলির সাক্ষাৎকার দেখছিলাম আমি। আমি কোহলির সাথে একমত, সে বলছিল যারা তাকে গালিগালাজ করে তারা তো তার কাছে কিছুই না। সে এখন যে পর্যায়ে আছে, সেই কোহলিকে তারা বানায়নি তাই তাদের কথা নিয়ে কেন সে বিচলিত হবে।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত ১০টি টেস্ট ম্যাচের ১৮ ইনিংসে মিঠুনের সংগ্রহ ৩৩৩ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৭। গড় ১৮.৫০। ৩৪ ওয়ানডের ৩০ ইনিংসে সংগ্রহ ৭১৪ রান। গড় ২৭.৪৬ ও স্ট্রাইকরেট ৭৭.৫২। এখানে সর্বোচ্চ ইনিংস ৭৩ রানের। ১৭ টি-টোয়েন্টির ১৩ ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংসের সুবাদে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছেন। তবে স্ট্রাইকরেট মাত্র ৯৩.৩৮।